একগুচ্ছ সতেজ ফুল আর মিস্টি কথার আতশ বাজী নয়-
আমাকে অভিসিক্ত করতে দরকার একটা মাটির প্রদীপ।
আমার মিথ্যা অহমিকার জঞ্জাল, মূরখ বিজ্ঞতার রঙ্গিন জামা,
বন্ধ্যা কল্পনার রিকেটী শিশুরা আর দূরবোধ্য শব্দ পাথর;
ওদের চিতার আগুনে জন্ম হোক সব্যসাচী পারথ সারথী।
অবুঝ আদর আর সোহাগ ডোরে, রেখো না পঙ্গু অলস করে।
নিরমম শুকনো মাটির লম্বা পথ একেলা চলতে হবে তার।
ওর কুস্ট ক্ষত বিভীতস শরীর স্নেহের নরম আঁচল দিয়ে,
প্রকাশ্য রাজপথে – ব্লো আর কত কাল, বিবস্ত্রা হয়ে
রাখবে ঢেকে ? কালের আরশী হয়ে ভেঙ্গে দাও
অসার মোহের চাতুরী, অবিশ্বাসী জটিল আর উদাসীন
মাটির কঠিন শয্যায়, শৈব্যার মত আমায় শুইয়ে দাও
সত্য দরশী আগুন হাতে।আঘাতে রক্ত গোলাপ ফুটুক
কুমারী হৃদয় বাগে।মৃত্যুর নিরমেহ শাসনে হোক
সব ভ্রান্তি শান্তি অবসান।
ধূলি ঝেড়ে নতুন জীবন পেয়ে যদি জেগে উঠি আরবার,
দু ফোঁটা চোখের জলে, তখনই দিও তার পুরস্কার।
আজ তার অভিশেক নয় বন্ধু আজ মরন উতসব,
কলঙ্কিত মৃত্যুর ওপারে শোনো নতুন জীবনের কলরব।
তোমারই হাতে বন্ধু সেই যাদুওকরী দন্ড, জন্ম মৃত্যুর চাবিকাঠি।
অনুক্ষন অজানা সম্ভাওবনায় আমি কেঁপে কেপে উঠি ।।
মাল। ২৯/৩/১৯৮৩
Thursday, June 3, 2010
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment