মোমে আগুন জ্বেলে দেখি কেমন গলে সেই পাষান পরান।
বুক ভরা হাহাকারে উদাসী বাতাস কি রে , তোলে কিনা ঝড়ের মাতন ।
নয়নের বরসায় কেমনে শুকনো রয় বুকের সবুজ বসন ।
মরন সাগর তীরে গেরুয়া শাড়ী পরে আসে কি না প্রিয়তম ।
সাজানো বাসর ঘরে নব বঁধূ সাজ পরে মরমী বঁধু আসে কখন।
দিল খোলা বাতায়নে আশাদীপ দু নয়নে জ্বালি নিশি জাগরন ।
আলিপুরদুয়ার, ৫/৫/১৯৮৩
Monday, May 31, 2010
ফাগুন
কেউ মানে, না মানে মোর মন তো জানে আজ মধূমাস।
হোক না বারিধারা কাঁদিয়া দিশাহারা সাগর বুকে তবু-প্রনয় উচ্ছ্বাস।
শীতের ঝরা পাতা ছড়াক বিরহ গাঁথা, সে রাগিনী বাঁধা জানি নতুন বিলাস ।
অলি যদি না আসে ফোঁটা ফুলের পাশে
কোকিল কুহু কুহু ডাকে না মুহু মুহু
চাঁদের জোছনায় আমারে না সাজায়
তবু জানি পরানে ফোঁটে ফুল গোপনে সেই তো ফাগুন সই-মিলন আভাষ ।
আলিপুরদুয়ার, ৪/৫/১৯৮৩
হোক না বারিধারা কাঁদিয়া দিশাহারা সাগর বুকে তবু-প্রনয় উচ্ছ্বাস।
শীতের ঝরা পাতা ছড়াক বিরহ গাঁথা, সে রাগিনী বাঁধা জানি নতুন বিলাস ।
অলি যদি না আসে ফোঁটা ফুলের পাশে
কোকিল কুহু কুহু ডাকে না মুহু মুহু
চাঁদের জোছনায় আমারে না সাজায়
তবু জানি পরানে ফোঁটে ফুল গোপনে সেই তো ফাগুন সই-মিলন আভাষ ।
আলিপুরদুয়ার, ৪/৫/১৯৮৩
মিলন রজনী
কি জানি সময় হয়েছে কি হয় নি ।
এখন ও তো মধুপুরে বাঁশরীর সুরে সুরে, প্রিয়তম ডাকেনি ।
ভ্রমরের গুঞ্জন সই কুসুমের অঙ্গনে কই?
কোথা সে দিবাকর তিম্র রাতের পর অভিসারে আসেনি।
নদীর কানে কানে সাগরের আলাপন
চৈতী চাঁদনী রাতে, নুপুরের আবাহন,
ফালগুনী আলিঙ্গনে মাতাল সমীরনের
নেই বঁধূ চপলতা, তবু মানি এই কথা, আজি মিলন রজনী।
য়ালিপুরসুয়ার, ৪/৫/১৯৮৩
এখন ও তো মধুপুরে বাঁশরীর সুরে সুরে, প্রিয়তম ডাকেনি ।
ভ্রমরের গুঞ্জন সই কুসুমের অঙ্গনে কই?
কোথা সে দিবাকর তিম্র রাতের পর অভিসারে আসেনি।
নদীর কানে কানে সাগরের আলাপন
চৈতী চাঁদনী রাতে, নুপুরের আবাহন,
ফালগুনী আলিঙ্গনে মাতাল সমীরনের
নেই বঁধূ চপলতা, তবু মানি এই কথা, আজি মিলন রজনী।
য়ালিপুরসুয়ার, ৪/৫/১৯৮৩
Sunday, May 30, 2010
মায়া
শুভ্র বসনা দুরন্ত ললনা, লোলুপ রসনা শান্ত করোনা ?
তোমার কুহক জালে,চুম্বক অনলে, সদা পড়ে ঢলে, পতঙ্গ দলে ।
অনন্ত ক্ষুধার , জ্বলন্ত চিতার , নরম আহার, হৃদয় সবার ।
লীলায়িত অঙ্গে , হরসিত রঙ্গে, দাঁড়াও ত্রিভঙ্গে, সহচরী সঙ্গে ।
বহ্নি শিখা জ্বেলে, খেলার ছলে , ঝাঁপিয়ে পড়িলে, মৃত্যুর কোলে ।
ধূঁয়ার আঁড়ালে, নিজেরে লুকালে, তবু নয়ন জ্বলে , কামনা অনলে ।
নিজেরে দহিয়ে , সবার হৃদয়ে, গেলে হে জ্বালিয়ে , শেষ বিদায়ে
আলিপুরদুয়ার, ১/৫/১৯৮৩
তোমার কুহক জালে,চুম্বক অনলে, সদা পড়ে ঢলে, পতঙ্গ দলে ।
অনন্ত ক্ষুধার , জ্বলন্ত চিতার , নরম আহার, হৃদয় সবার ।
লীলায়িত অঙ্গে , হরসিত রঙ্গে, দাঁড়াও ত্রিভঙ্গে, সহচরী সঙ্গে ।
বহ্নি শিখা জ্বেলে, খেলার ছলে , ঝাঁপিয়ে পড়িলে, মৃত্যুর কোলে ।
ধূঁয়ার আঁড়ালে, নিজেরে লুকালে, তবু নয়ন জ্বলে , কামনা অনলে ।
নিজেরে দহিয়ে , সবার হৃদয়ে, গেলে হে জ্বালিয়ে , শেষ বিদায়ে
আলিপুরদুয়ার, ১/৫/১৯৮৩
কেন
কেন স্নেহের আঁচল তুলে, মোছায়ে বিশাদ জলে, পলকে মুখ ঢাকিলে ?
কেন প্রেমের প্রদীপ জ্বেলে, আঁধার হৃদয় তলে, সুদূরে পাল তুলিলে ?
কেন অলস খেলার ছলে নিশিথে ঘুম ভাঙ্গালে, একাকীনি চলে গেলে ?
কেন ফাগুন আগুন জ্বেলে মন-বন-তরু মূলে যমূনা কুলে ডুবিলে ?
কেন ঊষার অরুন গালে আশার আবীর ঢেলে বিরহী সাজ পরিলে ?
কেন নীরব সমাধি তলে নুপুরের ধ্বনি তুলে আবার হারিয়ে গেলে ?
কেন শীতল এ দেহ দলে মিলন পরশ দিলে বিরহে নিজে ডুবিলে ?
বেশ তো ছিলাম সুখে অনাহত মরুবুকে নিশিদিন গঘ কাজে
তুমি তো নতুন সাজে সাজায়ে বাসর ঘরে রহিলে দূরে সরে ?
আলিপুরদুয়ার, ৩০/৪/১৯৮৩
কেন প্রেমের প্রদীপ জ্বেলে, আঁধার হৃদয় তলে, সুদূরে পাল তুলিলে ?
কেন অলস খেলার ছলে নিশিথে ঘুম ভাঙ্গালে, একাকীনি চলে গেলে ?
কেন ফাগুন আগুন জ্বেলে মন-বন-তরু মূলে যমূনা কুলে ডুবিলে ?
কেন ঊষার অরুন গালে আশার আবীর ঢেলে বিরহী সাজ পরিলে ?
কেন নীরব সমাধি তলে নুপুরের ধ্বনি তুলে আবার হারিয়ে গেলে ?
কেন শীতল এ দেহ দলে মিলন পরশ দিলে বিরহে নিজে ডুবিলে ?
বেশ তো ছিলাম সুখে অনাহত মরুবুকে নিশিদিন গঘ কাজে
তুমি তো নতুন সাজে সাজায়ে বাসর ঘরে রহিলে দূরে সরে ?
আলিপুরদুয়ার, ৩০/৪/১৯৮৩
প্রনতি
ঊষার আলোয় নতুন জীবন নিত্য নব কলেবর।
নতুন সুরের অজানা বাহার হৃদয়-বীনার পর।
জীরন অত্তেত সমাধি পরে স্বপন কুসুম খেলা করে
আঁধার আগামী লাজে ভয়ে দূরে রহে চির অনাদর।
করুনা কিরন অমিয় ধারায় ঘুম ভাঙ্গা ভোরে সিনান করায়
আশীষ আবীরে দেহ তনু মন, আশায় মগন আমি অনুক্ষন
নীরব প্রনতি জনাই তোমারে হে প্রিয় বন্ধু আমার।
মাল। ২৬/৪/১৯৮৩
নতুন সুরের অজানা বাহার হৃদয়-বীনার পর।
জীরন অত্তেত সমাধি পরে স্বপন কুসুম খেলা করে
আঁধার আগামী লাজে ভয়ে দূরে রহে চির অনাদর।
করুনা কিরন অমিয় ধারায় ঘুম ভাঙ্গা ভোরে সিনান করায়
আশীষ আবীরে দেহ তনু মন, আশায় মগন আমি অনুক্ষন
নীরব প্রনতি জনাই তোমারে হে প্রিয় বন্ধু আমার।
মাল। ২৬/৪/১৯৮৩
বাসনা
জয় করা মালা ভুল করে কেন ফেলে দিলে অনাদরে।
রঙ্গিন স্বপন যতন চয়নে কত অতন্দ্র প্রহরে ।
{আমি} গেঁতেছি এ ফুলহার পেরিয়ে মরু প্রান্তর
এসেছি অমিয় সাগর কিনারে তাপিত পিয়াসি অন্তরে।
নিবেদনের শতদল আজ নিঠুর উতলা বায়
রাতের রোদন শিশিরের মত অবেলায় ঝরে যায়
তোমার আকাশ বুকের মাঝে তারার প্রদীপ সকাল সাঁঝে
বাসনা মম যেন নিভে যায় একটি নিঃশ্বাস ভারে ।
মাল। ২৬।৪।১৯৮৩
রঙ্গিন স্বপন যতন চয়নে কত অতন্দ্র প্রহরে ।
{আমি} গেঁতেছি এ ফুলহার পেরিয়ে মরু প্রান্তর
এসেছি অমিয় সাগর কিনারে তাপিত পিয়াসি অন্তরে।
নিবেদনের শতদল আজ নিঠুর উতলা বায়
রাতের রোদন শিশিরের মত অবেলায় ঝরে যায়
তোমার আকাশ বুকের মাঝে তারার প্রদীপ সকাল সাঁঝে
বাসনা মম যেন নিভে যায় একটি নিঃশ্বাস ভারে ।
মাল। ২৬।৪।১৯৮৩
Thursday, May 27, 2010
মে দিবস
ফেলরে খুলে অত্যাচারী দুঃশাসনের নকল সোনার কঠিন শিকল ।
দে গুড়িয়ে শ্রমিকের হাড়ে গড়ানো ঐ সুখের প্রাসাদ বিরাম স্থল।।
কৃ্তান্ত সব কুচক্রী দলে,
দে ফেলে দে প্রতিশোধের বহ্নি জ্বেলে
মরুক জ্বলে, শেষ হয়ে যাক
নষট ভ্রস্ট দুস্ট শাসক-কালো পোষাক-
নিপাত যাক - নিপাত যাক।
বিভেদ স্রস্টা বেনিয়া জাত ;
কবর দাও- বিস্মৃতির পাষান তলে, রক্ত লোভী রক্ত বীজের অসুর দলে।
শ্রমিকের ঝরা রক্ত ঘামে শান্তিতে রয় আরাম ঘুমে
ঘুম যেন তার আর না ভাঙ্গে।
আজি জনতার বিপুল উচ্ছাসে অত্যাচার সব যাক ভেসে
শান্তি মৈত্রীর বান আসুক শুস্ক মুখে ফুল ফ্যটুক।
আলিপুরদুয়ার, ১।৫।১৯৮৩
দে গুড়িয়ে শ্রমিকের হাড়ে গড়ানো ঐ সুখের প্রাসাদ বিরাম স্থল।।
কৃ্তান্ত সব কুচক্রী দলে,
দে ফেলে দে প্রতিশোধের বহ্নি জ্বেলে
মরুক জ্বলে, শেষ হয়ে যাক
নষট ভ্রস্ট দুস্ট শাসক-কালো পোষাক-
নিপাত যাক - নিপাত যাক।
বিভেদ স্রস্টা বেনিয়া জাত ;
কবর দাও- বিস্মৃতির পাষান তলে, রক্ত লোভী রক্ত বীজের অসুর দলে।
শ্রমিকের ঝরা রক্ত ঘামে শান্তিতে রয় আরাম ঘুমে
ঘুম যেন তার আর না ভাঙ্গে।
আজি জনতার বিপুল উচ্ছাসে অত্যাচার সব যাক ভেসে
শান্তি মৈত্রীর বান আসুক শুস্ক মুখে ফুল ফ্যটুক।
আলিপুরদুয়ার, ১।৫।১৯৮৩
খোঁজ
কি যে আমি আর কি যে নই;
তাই ভেবে সই আকুল হই।।
আমায় গড়িয়ে দাও হে যতন করে
নিজেরই মত অনুপম করে,
যেন আমাতে সই আমি খুঁজে পাই।
অন্য বিত্ত চাই আমি পর ধনের নই কাঙ্গাল
মম চিত্ত মাঝে আনন্দ লহরী তোলে ব্রজ রাখাল,
বাজাও মোরে সেই সে সুরে যে তানে সই বাঁধা রই।।
পথ ভোলা এ পথিকেরে দয়া করে হাতটি ধরে,
চিনিয়ে দে সে পথটিরে চলি আপন ছন্দে সুরে
আর কত কাল বিকল হয়ে পথের ধাঁধাঁয় মরি সই
বলে দে সে পথ নিশানা বল সই সে পথ কই ?
আলিপুরদুয়ার, ১।৫।১৯৮৩
তাই ভেবে সই আকুল হই।।
আমায় গড়িয়ে দাও হে যতন করে
নিজেরই মত অনুপম করে,
যেন আমাতে সই আমি খুঁজে পাই।
অন্য বিত্ত চাই আমি পর ধনের নই কাঙ্গাল
মম চিত্ত মাঝে আনন্দ লহরী তোলে ব্রজ রাখাল,
বাজাও মোরে সেই সে সুরে যে তানে সই বাঁধা রই।।
পথ ভোলা এ পথিকেরে দয়া করে হাতটি ধরে,
চিনিয়ে দে সে পথটিরে চলি আপন ছন্দে সুরে
আর কত কাল বিকল হয়ে পথের ধাঁধাঁয় মরি সই
বলে দে সে পথ নিশানা বল সই সে পথ কই ?
আলিপুরদুয়ার, ১।৫।১৯৮৩
আমি
আমার মত কেউ নেই ধরায় আমিই যে আমার উপমা।
বিচিত্র প্রকৃতি সৃজন ধারায় তোমারই মত প্রথমা ।।
জানি জানি প্রভূ এই ভবে আমারই মত কেউ না হবে
কথায় কাজে জীবন সাজে আমি অপূরব ভিলোত্তমা ।
আনন্দ পুষপ রথে দিনগুলি মোর উল্লাসে চলে ভেসে
দুঃখের পাহাড় পার হয়ে যাই অবহেলে নিমেষে
এ জীবন গরবে গরবীনি প্রভূ তোমারে ধন্য মানি
উজাড় করিয়া তব রাবগা পায় ঢেলে দিই মম গরিমা।।
আলিপুদুয়ার, ৩০/৪/১৯৮৩
বিচিত্র প্রকৃতি সৃজন ধারায় তোমারই মত প্রথমা ।।
জানি জানি প্রভূ এই ভবে আমারই মত কেউ না হবে
কথায় কাজে জীবন সাজে আমি অপূরব ভিলোত্তমা ।
আনন্দ পুষপ রথে দিনগুলি মোর উল্লাসে চলে ভেসে
দুঃখের পাহাড় পার হয়ে যাই অবহেলে নিমেষে
এ জীবন গরবে গরবীনি প্রভূ তোমারে ধন্য মানি
উজাড় করিয়া তব রাবগা পায় ঢেলে দিই মম গরিমা।।
আলিপুদুয়ার, ৩০/৪/১৯৮৩
ঞ্ছলনা
আমি বোকা বলে ভালো বলো ভালবাসা কভু নয়।
আমায় ভুলিয়ে রাখো ছলনায় {করি } মিছে প্রেম অভিনয়।।
নকল রুপের তুলি টানো শুকনো হাসির বন্যা আনো
তুমি চোখের কোলে বিজলি হানো যখনই সই দেখা হয়।।
বাসী ফুলের মিলন মালা গাঁথিয়া সাঁঝ সকালে
পথ ভোলা কোন পথিক এলে সাজায়ে দাও তার গলে,
বিদায় বেলায় লও খিলি দলিত মালার ফুলগুলি
রাঙ্গায়ে অনুরাগ রঙ্গে নব বঁ্ধু নিতি হয়।।
আলিপুরদুয়ার, ৩০/৪/১৯৮৩
আমায় ভুলিয়ে রাখো ছলনায় {করি } মিছে প্রেম অভিনয়।।
নকল রুপের তুলি টানো শুকনো হাসির বন্যা আনো
তুমি চোখের কোলে বিজলি হানো যখনই সই দেখা হয়।।
বাসী ফুলের মিলন মালা গাঁথিয়া সাঁঝ সকালে
পথ ভোলা কোন পথিক এলে সাজায়ে দাও তার গলে,
বিদায় বেলায় লও খিলি দলিত মালার ফুলগুলি
রাঙ্গায়ে অনুরাগ রঙ্গে নব বঁ্ধু নিতি হয়।।
আলিপুরদুয়ার, ৩০/৪/১৯৮৩
স্রোতধারা
হোক শুষক নদী বুক হোক স্রোত হারা
সে কি ভুলিতে পারে কভু শ্রাবনের ধারা ?
যে ছবে মনের কোনে গোপনে শত যতনে
আঁকি প্রেম অঞ্জনে কেমনে ঢাকি মুখ তারা ?
যে রাগিনী অনুরনি বাতাসের কানে
নীরব বাঁশিটিরে দেবে তা কেমনে ?
শত চোখের জলে তুলে ফেলা ফুল দলে
পাবে না ফিরে আর বৃন্ত সাহারা ।
হারানো অতীত মাঝে যা যেমন সাজানো আছে
জীবনেও বিনিময়ে হবে না হয় না সই অন্য ধারা।
আলিপুরদুয়ার৩০/৪/১৯৮৩
সে কি ভুলিতে পারে কভু শ্রাবনের ধারা ?
যে ছবে মনের কোনে গোপনে শত যতনে
আঁকি প্রেম অঞ্জনে কেমনে ঢাকি মুখ তারা ?
যে রাগিনী অনুরনি বাতাসের কানে
নীরব বাঁশিটিরে দেবে তা কেমনে ?
শত চোখের জলে তুলে ফেলা ফুল দলে
পাবে না ফিরে আর বৃন্ত সাহারা ।
হারানো অতীত মাঝে যা যেমন সাজানো আছে
জীবনেও বিনিময়ে হবে না হয় না সই অন্য ধারা।
আলিপুরদুয়ার৩০/৪/১৯৮৩
কেন
কেন স্নেহের আঁচল তুলে মোছায়ে বিষাদ জলে পলকে মুখ ঢাকিলে?
কেন প্রেমের প্রদীপ জ্বেলে আঁধার হৃদয় তলে সুদূরে পাল তুলিলে ?
কেন অলস খেলার ছলে নিশিথে ঘুম ভাঙ্গালে একাকিনী চলে গেলে?
কেন ফাগুন আগুন জ্বেলে মন-বন-তরু মূলে যমুনা কুলে ডুবিলে?
কেন ঊষার অরুন গালে আশার আবীর ঢেলে বিরহী সাজ পরিলে ?
কেন নীরব সমাধি তলে নুপুরের ধ্বনি তুলে আবার হারিয়ে গেলে ?
কেন শীতল এ দেহ দলে মিলন পরশ দিলে বিরহে নিজে ডুবিলে ?
বেশ তো ছিলাম সুখে অনাহত মরু-বুকে নিশি দিন গৃহ কাজে
তুমি তো নতুন সাজে সাজায়ে বাসর ঘরে রহিলে দূরে সরে।
আলিপুদুয়ার, ৩০/৪/১৯৮৩
কেন প্রেমের প্রদীপ জ্বেলে আঁধার হৃদয় তলে সুদূরে পাল তুলিলে ?
কেন অলস খেলার ছলে নিশিথে ঘুম ভাঙ্গালে একাকিনী চলে গেলে?
কেন ফাগুন আগুন জ্বেলে মন-বন-তরু মূলে যমুনা কুলে ডুবিলে?
কেন ঊষার অরুন গালে আশার আবীর ঢেলে বিরহী সাজ পরিলে ?
কেন নীরব সমাধি তলে নুপুরের ধ্বনি তুলে আবার হারিয়ে গেলে ?
কেন শীতল এ দেহ দলে মিলন পরশ দিলে বিরহে নিজে ডুবিলে ?
বেশ তো ছিলাম সুখে অনাহত মরু-বুকে নিশি দিন গৃহ কাজে
তুমি তো নতুন সাজে সাজায়ে বাসর ঘরে রহিলে দূরে সরে।
আলিপুদুয়ার, ৩০/৪/১৯৮৩
ভালবাসা
তোমার ভালবাসা লোভী রাহুর মত তিলে তিলে মারে মোরে।
ভুলায়ে সব কাজ হৃদয় ঝিনুক মাঝ রাখোগো বন্দী করে।
মোহন ছন্দ সুরে বাঁধি বীনার তারে
অনুক্ষন রঙ ভারে বাজাও পাগল করে
কথা হাসি সুধা ঢেলে কুতুহলে অবহেলে মাতাও এ অলিটিরে।।
রাঁধারে যেমন করে বাঁধিয়া প্রেম ডোরে
রেখেছো ছায়া করে আপন অন্তঃপুরে
নিঠুর দরদী পিয়া অলকে বসিয়া ধীরে চিত্ত মম নিলে হরে।।
আলিপুরদুয়ার, ৩০।৪।১৯৮৩
ভুলায়ে সব কাজ হৃদয় ঝিনুক মাঝ রাখোগো বন্দী করে।
মোহন ছন্দ সুরে বাঁধি বীনার তারে
অনুক্ষন রঙ ভারে বাজাও পাগল করে
কথা হাসি সুধা ঢেলে কুতুহলে অবহেলে মাতাও এ অলিটিরে।।
রাঁধারে যেমন করে বাঁধিয়া প্রেম ডোরে
রেখেছো ছায়া করে আপন অন্তঃপুরে
নিঠুর দরদী পিয়া অলকে বসিয়া ধীরে চিত্ত মম নিলে হরে।।
আলিপুরদুয়ার, ৩০।৪।১৯৮৩
আশার সমাধি
আশার সমাধি আভাষ জাগে সাঁঝ আকাশে।
শুনি তার হাহাকার চৈতালী বাতাসে।
ভাষার বাঁধনে যারে বাঁধিতে চেয়েছি ধীরে
নীরবে সে চেঘে সরে অচেনা কোন দূর দেশে।
আশা ছিল ভাষা হয়ে ফুটে রব তব গানে
মালা হয়ে দোলা দেবো সুধা ঝরা মধু বনে
সে ইচ্ছার ইতিহাস করে শুধু পরিহাস
অনাদর অপমানে মরন ঘনায়ে আসে।।
আলিপুরদুয়ার, ৩০/৪/১৯৮৩
শুনি তার হাহাকার চৈতালী বাতাসে।
ভাষার বাঁধনে যারে বাঁধিতে চেয়েছি ধীরে
নীরবে সে চেঘে সরে অচেনা কোন দূর দেশে।
আশা ছিল ভাষা হয়ে ফুটে রব তব গানে
মালা হয়ে দোলা দেবো সুধা ঝরা মধু বনে
সে ইচ্ছার ইতিহাস করে শুধু পরিহাস
অনাদর অপমানে মরন ঘনায়ে আসে।।
আলিপুরদুয়ার, ৩০/৪/১৯৮৩
বেলা শেষে
আমার যায় যে বেলা অবহেলায় সাগর বেলায় ঢেউ গুনে ।
ছল করি জল স্বপনের আঁচল ভরাই ঝিনুকে আনমনে ।
না মানি সমাজ লোক ভয় লাজ
ভূলি আন কাজ, সাগরের মাঝ
ডুবিয়া হৃদয় ভরানো হলো না রতন মনি সই যতনে।।
অলস স্বপনে খোলা বাতায়নে চেয়ে চেয়ে সেই পথ পানে
হতাশ নয়নে বিষাদ আনে বসিয়া রঙ্গিন জাল বুনে
হাওয়ার কানে বিলাপ কূজনে
যত গাহি গান ,সেকি তা শোনে?
সেই নিঠুর পরান জানি কোন দিন বহিবে না আর উজান পানে।
আলিপুরদুয়ার,৩০/৪/১৯৮৩
ছল করি জল স্বপনের আঁচল ভরাই ঝিনুকে আনমনে ।
না মানি সমাজ লোক ভয় লাজ
ভূলি আন কাজ, সাগরের মাঝ
ডুবিয়া হৃদয় ভরানো হলো না রতন মনি সই যতনে।।
অলস স্বপনে খোলা বাতায়নে চেয়ে চেয়ে সেই পথ পানে
হতাশ নয়নে বিষাদ আনে বসিয়া রঙ্গিন জাল বুনে
হাওয়ার কানে বিলাপ কূজনে
যত গাহি গান ,সেকি তা শোনে?
সেই নিঠুর পরান জানি কোন দিন বহিবে না আর উজান পানে।
আলিপুরদুয়ার,৩০/৪/১৯৮৩
সতিনী
তুই যেন লো সতিনী সম-
হিংসা চিতায় দহিছ জন্ম জনম।
যেতে বঁধু অভিসারে, বাঁধিস কায়টার ডোরে,
মরম কথায় ঢালিস বিষাদ সরম।।
জোছনা বাহু লতায় আমারে জড়ায়
আঁধার মেঘ হয়ে আবেশ ভাঙ্গায়
নয়নে রাখি নয়ন যখনি স্বপ্ন মগন
বাতায়নে বসে আসি নিলাজ ঘুম।
আমি তো ভূলেও কভু প্রনয় লীলায়,
সাধি নাই বাদ সখি আসি অসময়
চুপি কাঁদি একাকীনি ভেসেছি দিবস যামী
অভাগী বলে প্রবোধ মেনেছি জেনেছি সে সবার প্রিয়তম।
আলিপুরদুয়ার, ৩০।৪।১৯৮৩
হিংসা চিতায় দহিছ জন্ম জনম।
যেতে বঁধু অভিসারে, বাঁধিস কায়টার ডোরে,
মরম কথায় ঢালিস বিষাদ সরম।।
জোছনা বাহু লতায় আমারে জড়ায়
আঁধার মেঘ হয়ে আবেশ ভাঙ্গায়
নয়নে রাখি নয়ন যখনি স্বপ্ন মগন
বাতায়নে বসে আসি নিলাজ ঘুম।
আমি তো ভূলেও কভু প্রনয় লীলায়,
সাধি নাই বাদ সখি আসি অসময়
চুপি কাঁদি একাকীনি ভেসেছি দিবস যামী
অভাগী বলে প্রবোধ মেনেছি জেনেছি সে সবার প্রিয়তম।
আলিপুরদুয়ার, ৩০।৪।১৯৮৩
একা
সজনী! রজনী পোহালো বিফ০লে জাগি ।
বাসর শয়নে একা মিলন লাগি।।
তারাত গাঁথা মালা স্বাতীর টিপ,
জ্বালিয়ে সারা রাত চাঁদের দীপ
জোছনার ধারা স্নানে হয়ে অনুরাগী।।
খোলা ছিল দ্বার খানি আসন পাতি
বেজেছিল মনোবীনা মিলন গীতি
ভরা ছিল মধু বুকে স্বপন কাঁজল,
ক্লান্ত নিশিথীনি টানি মলিন আঁচল
অবশ চরনে চলে বিদায় মাগি।।
আলিপুরদুয়ার, ২৯/৪/১৯৮৩
বাসর শয়নে একা মিলন লাগি।।
তারাত গাঁথা মালা স্বাতীর টিপ,
জ্বালিয়ে সারা রাত চাঁদের দীপ
জোছনার ধারা স্নানে হয়ে অনুরাগী।।
খোলা ছিল দ্বার খানি আসন পাতি
বেজেছিল মনোবীনা মিলন গীতি
ভরা ছিল মধু বুকে স্বপন কাঁজল,
ক্লান্ত নিশিথীনি টানি মলিন আঁচল
অবশ চরনে চলে বিদায় মাগি।।
আলিপুরদুয়ার, ২৯/৪/১৯৮৩
Wednesday, May 26, 2010
বিরহ
ঝরা এ বাদল রাতে
তুমি নাই প্রিয়া, তুমি নাই মোর সাথে।
নাচিছে ময়ুর ডাকিছে বিহগ ফুটেছে বকুল মিলন রাগে
বিরহী একেলা জাগিছে বাসর নীদ হারা আঁখি পাতে।।
গুরু গুরু মেঘে দুরু দুরু হিয়া রহিয়া রহিয়া উঠিছে কাঁপিয়া
বিজুলী চমকে আশার বানী বাতাস নুপুরে শুনি পদধ্বনি
আমার মনের ভাষা হয়ে হায় বন কাঁদে তারি সাথে ।।
আলিপুরদুয়ার, ২৯/৪/১৯৮৩
তুমি নাই প্রিয়া, তুমি নাই মোর সাথে।
নাচিছে ময়ুর ডাকিছে বিহগ ফুটেছে বকুল মিলন রাগে
বিরহী একেলা জাগিছে বাসর নীদ হারা আঁখি পাতে।।
গুরু গুরু মেঘে দুরু দুরু হিয়া রহিয়া রহিয়া উঠিছে কাঁপিয়া
বিজুলী চমকে আশার বানী বাতাস নুপুরে শুনি পদধ্বনি
আমার মনের ভাষা হয়ে হায় বন কাঁদে তারি সাথে ।।
আলিপুরদুয়ার, ২৯/৪/১৯৮৩
আকুতি
তুমি ক্ষনিক দাঁড়াও অভিমানিনী প্রিয়া ।
কেন চাঁদ মুখ ঢাকো মেঘের আঁচল দিয়া’’
পদ্ম পাতা আঁখিতে তোমার অশ্রু শিশির কাঁপে থর থর
কেন অধর পুটে উঠলো ফুটে রক্ত গোলাপ ছায়া।।
হৃদয় তোমার বৈশাখী ঝড়ে উথাল পাথাল করে
চকিত চরন কাঁটার আঁচড়ে কমল ঝরিয়া মরে
এলায়ে আঁচল এলোকেশ ছুটিয়া চলিছো পরদেশ
ব্লো কোন অভিমানে আমারে একেলা ফেলিয়া ।।
আলিপুরদুয়ার, ২৯/৪/১৯৮৩
কেন চাঁদ মুখ ঢাকো মেঘের আঁচল দিয়া’’
পদ্ম পাতা আঁখিতে তোমার অশ্রু শিশির কাঁপে থর থর
কেন অধর পুটে উঠলো ফুটে রক্ত গোলাপ ছায়া।।
হৃদয় তোমার বৈশাখী ঝড়ে উথাল পাথাল করে
চকিত চরন কাঁটার আঁচড়ে কমল ঝরিয়া মরে
এলায়ে আঁচল এলোকেশ ছুটিয়া চলিছো পরদেশ
ব্লো কোন অভিমানে আমারে একেলা ফেলিয়া ।।
আলিপুরদুয়ার, ২৯/৪/১৯৮৩
সাধ
কালো আঁখি তীরে ঝরে নিবেদনের জল ।
হৃদয় অরুন রাগে মেলে দেয় দল।
তাই তো পলাশ ফুল শোভে মার পদতল
কাঁদিয়া রক্ত দেওয়া হয় না বিফল।।
আমিও কাঁদিতে চাই অঝোর ধারায়
রক্ত ঝরাতে চাই চিরিয়া হৃদয়,
জনমের সাধ মোর হতে ফুল উপহার
লিটাতে ধূলির পরে যেথা বিছাও আঁচল ।।
আলিপুরদুয়ার, ২৯/৪/১৯৮৩
হৃদয় অরুন রাগে মেলে দেয় দল।
তাই তো পলাশ ফুল শোভে মার পদতল
কাঁদিয়া রক্ত দেওয়া হয় না বিফল।।
আমিও কাঁদিতে চাই অঝোর ধারায়
রক্ত ঝরাতে চাই চিরিয়া হৃদয়,
জনমের সাধ মোর হতে ফুল উপহার
লিটাতে ধূলির পরে যেথা বিছাও আঁচল ।।
আলিপুরদুয়ার, ২৯/৪/১৯৮৩
অভিমান
আঁখির দুয়ার খুলি কে তুমি স্মৃতির দীপ জ্বালিয়া,
প্রনয় মিলন মাখা পুরানো সে ইতিহাস খুলিয়া।
বৃন্তের বন্ধন খুলে অভিমানে গেছে চলে
বিরহী হিয়ায় রক্ত ঝরে ফুল পিয়ারে স্মরিয়া।
যমুনা আর বহে না সই উজান টানে
কোকিল কুহু ডাকে না মন উপবনে,
রাধা গাগরি ভরিয়া গেছে সুদূরে চলিয়া
আসবে না সই কুঞ্জ বনে আর ননদে ছলিয়া ।।
আলিপুরদুয়ার, ২৮/৪/১৯৮৩
প্রনয় মিলন মাখা পুরানো সে ইতিহাস খুলিয়া।
বৃন্তের বন্ধন খুলে অভিমানে গেছে চলে
বিরহী হিয়ায় রক্ত ঝরে ফুল পিয়ারে স্মরিয়া।
যমুনা আর বহে না সই উজান টানে
কোকিল কুহু ডাকে না মন উপবনে,
রাধা গাগরি ভরিয়া গেছে সুদূরে চলিয়া
আসবে না সই কুঞ্জ বনে আর ননদে ছলিয়া ।।
আলিপুরদুয়ার, ২৮/৪/১৯৮৩
Tuesday, May 25, 2010
জীবন খেলা
জানি খেলা শেষ হলে বেলাও রবেনা বসে ।
জ্বালিবে না কেউ জীবন প্রদীপ শূন্য দেবালয় পাশে ।
সেই চির আঁধার দেশে, রবো হিম সমাধিত মিশে
মন-বীনা আর গাহিবে না শত সুরে সুরে হেসে।
জীবনের যত ঋন প্রেম ভালবাসা, শুধু সক্লের তরে,
কথা খেলায় এই বেলা হায়, নিজেরে উজাড় করে,
বিলায়ে সকলি নিঃশেষে আমি তব সাথে নিমেষে
মিশে যাবো বঁধূ হেসে হেসে নতুন খেলার শেষে।।
আলিপুরদুতার, ২৮/৪/১৯৮৩
জ্বালিবে না কেউ জীবন প্রদীপ শূন্য দেবালয় পাশে ।
সেই চির আঁধার দেশে, রবো হিম সমাধিত মিশে
মন-বীনা আর গাহিবে না শত সুরে সুরে হেসে।
জীবনের যত ঋন প্রেম ভালবাসা, শুধু সক্লের তরে,
কথা খেলায় এই বেলা হায়, নিজেরে উজাড় করে,
বিলায়ে সকলি নিঃশেষে আমি তব সাথে নিমেষে
মিশে যাবো বঁধূ হেসে হেসে নতুন খেলার শেষে।।
আলিপুরদুতার, ২৮/৪/১৯৮৩
আকুলতা
এত গান এত কথা প্রানের এ আকুলতা, জানিনা কাহারে স্মরিয়া,
সারাদিন অনুক্ষন সুরে সুরে তনু মন , কেন ওঠে সই ভরিয়া।
ভূবন আমার আলো ঝল মল, বাতাসে কাঁপে ধারা টলমল
হিন্দোল সুরে হিল্লোল তরঙ্গে ওঠে কল্লোল, দোদুল দোলায় দুলিয়া।
দিল বাগে আজ ফুলের মেলা, মাতাল ভ্রমর গুঞ্জে,
উওতল হাওয়ায় জোছনা শরাবে, ছোটে মেঘ পুঞ্জে পুঞ্জে,
এলো বুঝি আজ মধু মাস, মনে জাগে তাই উচ্ছ্বাস
হৃদয় বাসর রাখা, অচেনা পিয়ার দেখা, শত রূপে নিই বরিয়া।।
আলিপুরদুয়ার, ২৮/৪/১৯৮৩
সারাদিন অনুক্ষন সুরে সুরে তনু মন , কেন ওঠে সই ভরিয়া।
ভূবন আমার আলো ঝল মল, বাতাসে কাঁপে ধারা টলমল
হিন্দোল সুরে হিল্লোল তরঙ্গে ওঠে কল্লোল, দোদুল দোলায় দুলিয়া।
দিল বাগে আজ ফুলের মেলা, মাতাল ভ্রমর গুঞ্জে,
উওতল হাওয়ায় জোছনা শরাবে, ছোটে মেঘ পুঞ্জে পুঞ্জে,
এলো বুঝি আজ মধু মাস, মনে জাগে তাই উচ্ছ্বাস
হৃদয় বাসর রাখা, অচেনা পিয়ার দেখা, শত রূপে নিই বরিয়া।।
আলিপুরদুয়ার, ২৮/৪/১৯৮৩
খেলা
বুঝি এমনি মধুর নিঠুর খেলা,
আমারে লয়ে খেলিছো সারাবেলা
কখন আনন্দ অমৃত সুধায়, কখন বিষাদ দহন জ্বালায়
মিলন বিরহের আলো ছায়ার অন্ত-বিহীন লীলা/
অবহেলা ঘায়ে অনুরাগ নীরে, বাজাও আমারে আপন সুরে
দূরে ফেলে আবার লও কোলে তুলে, ভুলিয়ে রাখো শত রাঙ্গা ছলে
রহস্যময়ী প্রেমের তুমি চপলা কিশোরী বালা।
অঙ্গে জড়া্যে নিতি নব সাজ ভুলিয়ে দাও সকল কাজ
হেলা-ভয়-লাজ ফেলিয়া নিলাজ, প্রেম তরঙ্ক রঙ্গে সকাল সাঁঝ
নীরব ভাষায় ঝরা ফুল দলে গাঁথিয়া মালা।।
আলিপুরদুয়ার, ২৮/৪/১৯৮৩
আমারে লয়ে খেলিছো সারাবেলা
কখন আনন্দ অমৃত সুধায়, কখন বিষাদ দহন জ্বালায়
মিলন বিরহের আলো ছায়ার অন্ত-বিহীন লীলা/
অবহেলা ঘায়ে অনুরাগ নীরে, বাজাও আমারে আপন সুরে
দূরে ফেলে আবার লও কোলে তুলে, ভুলিয়ে রাখো শত রাঙ্গা ছলে
রহস্যময়ী প্রেমের তুমি চপলা কিশোরী বালা।
অঙ্গে জড়া্যে নিতি নব সাজ ভুলিয়ে দাও সকল কাজ
হেলা-ভয়-লাজ ফেলিয়া নিলাজ, প্রেম তরঙ্ক রঙ্গে সকাল সাঁঝ
নীরব ভাষায় ঝরা ফুল দলে গাঁথিয়া মালা।।
আলিপুরদুয়ার, ২৮/৪/১৯৮৩
ভালবাসা
ভালবাসা শুধু দিতে চায় পেতে নাহি কিছু চায়।
ধরার প্রেমে উতলা বকুল লুটায় ধূলির পায়।।
মল্লিকা হাসে চাঁদের আশে ,নীরবে ধূপ গন্ধ বিলাসে,
পোঁড়ে তবু জ্বালে আলো শিখা মাটির প্রদীপ হায় ।।
সাগরে চাহিয়া নদী , বয়ে চলে নিরবধি,
ফুল বুকে মধু রাখে লোভী অলি আসে যদি
নিশি চাহি ভোরের ঊষা করে শুধু যাওয়া আসা
পাপিয়া ভৈ্রবী সুরে পিয়ার ঘুম ভাঙায়।।
সিলিগুরি, ২৭/৪/১৯৮৩
ধরার প্রেমে উতলা বকুল লুটায় ধূলির পায়।।
মল্লিকা হাসে চাঁদের আশে ,নীরবে ধূপ গন্ধ বিলাসে,
পোঁড়ে তবু জ্বালে আলো শিখা মাটির প্রদীপ হায় ।।
সাগরে চাহিয়া নদী , বয়ে চলে নিরবধি,
ফুল বুকে মধু রাখে লোভী অলি আসে যদি
নিশি চাহি ভোরের ঊষা করে শুধু যাওয়া আসা
পাপিয়া ভৈ্রবী সুরে পিয়ার ঘুম ভাঙায়।।
সিলিগুরি, ২৭/৪/১৯৮৩
পুজা
মনের সোনার আসন পরে মানস প্রতিমার পূজা কর ।
সে চায়না রতন রাজ সিংহাসন যাচে বিশ্বাস-বেদী হৃদয় পরে।।
পেলে দিবি তাই কি আশায়, বনিক সুলভ ছলনায়
কামনা বাসনার থালায় অরঘ সাজাস তোর দেবতার ?
ভক্তি-নীরে আসক্তিরে অহং কারায় বন্দী করে,
ত্বমঃহি মন্ত্রে আপনারে নিবেওদনের ফুল উপহারে
উজাড় করে দে রাঙ্গা পায়, দয়াময়ী অসীম করুনায়
স্নেহের আঁচলে মোছাবে তোর সকল যাতনা দুঃখ ভার।।
শিলিগুরি, ২৭/৪/১৯৮৩
সে চায়না রতন রাজ সিংহাসন যাচে বিশ্বাস-বেদী হৃদয় পরে।।
পেলে দিবি তাই কি আশায়, বনিক সুলভ ছলনায়
কামনা বাসনার থালায় অরঘ সাজাস তোর দেবতার ?
ভক্তি-নীরে আসক্তিরে অহং কারায় বন্দী করে,
ত্বমঃহি মন্ত্রে আপনারে নিবেওদনের ফুল উপহারে
উজাড় করে দে রাঙ্গা পায়, দয়াময়ী অসীম করুনায়
স্নেহের আঁচলে মোছাবে তোর সকল যাতনা দুঃখ ভার।।
শিলিগুরি, ২৭/৪/১৯৮৩
বাসর
পথ চলতে চলতে আমি থমকে গেছি ।
মায়াবী স্মরন খাঁচায় আমি বন্দী হয়ে আছি ।
ফাল্গুনি গোধুলি লগনে চোখে চোখ রাখি দুজনে
যবে মন বিনিময় নীরব ভাষায় করেছি ।
মুছেছি অতীত, ভুলেছি ভবিষ্যত, সেই দিন চির বরতমানে
দাঁড়ায়ে রয়েছি,অচল পাথারে কতদিন নেই মনে
মোর স্বপন এ ঘুম ঘোর, নিশি শেষে আর হবে না ভোর,
স্মরন- বীনে মিলন গীতি উঠিছে নাচি।
অনন্ত এ অভিসারে , পলক তিলেক নাহি সরে,
যেন চির নূতন বাসর শয্যায় জেগে আছি।।
মাল, ২৭/৪/১৯৮৩
মায়াবী স্মরন খাঁচায় আমি বন্দী হয়ে আছি ।
ফাল্গুনি গোধুলি লগনে চোখে চোখ রাখি দুজনে
যবে মন বিনিময় নীরব ভাষায় করেছি ।
মুছেছি অতীত, ভুলেছি ভবিষ্যত, সেই দিন চির বরতমানে
দাঁড়ায়ে রয়েছি,অচল পাথারে কতদিন নেই মনে
মোর স্বপন এ ঘুম ঘোর, নিশি শেষে আর হবে না ভোর,
স্মরন- বীনে মিলন গীতি উঠিছে নাচি।
অনন্ত এ অভিসারে , পলক তিলেক নাহি সরে,
যেন চির নূতন বাসর শয্যায় জেগে আছি।।
মাল, ২৭/৪/১৯৮৩
Monday, May 24, 2010
মেঘ
ঝাপসা কেন আকাশী নয়ন বিষাদ বিধুর মেঘে ?
ধূসর বসন অলসে লুটায় উদাসীন অনুরাগে ।
প্রেমের কাঁজল আঁখি কোনে দূরের পাহাড় বরিষনে
পাথর ছড়ানো জীবন কুলে স্মৃতির তরঙ্গ জাগে।।
চাঁদের টিপ তারার মালা অবুঝ সবুজ মেখলা
যেন ঝরিয়া গিয়াছে হায় শোকাহত এই বেলা
বলো বালা বলো কার তরে পথ চেয়ে চোখে জল ঝরে
বাঁধো চুল মোছো জল চাহো আগে বঁধুর মূরতি জাগে।।
হাসিমারা, ২৭/৬/১৯৮৩
ধূসর বসন অলসে লুটায় উদাসীন অনুরাগে ।
প্রেমের কাঁজল আঁখি কোনে দূরের পাহাড় বরিষনে
পাথর ছড়ানো জীবন কুলে স্মৃতির তরঙ্গ জাগে।।
চাঁদের টিপ তারার মালা অবুঝ সবুজ মেখলা
যেন ঝরিয়া গিয়াছে হায় শোকাহত এই বেলা
বলো বালা বলো কার তরে পথ চেয়ে চোখে জল ঝরে
বাঁধো চুল মোছো জল চাহো আগে বঁধুর মূরতি জাগে।।
হাসিমারা, ২৭/৬/১৯৮৩
রহস্য
বিচিত্র রহস্য লুকিয়ে রেখেছো মনের গহীন গহনে ।
নিরবাক বিস্ময়ে নিশ্চল নয়নে মন দেখিয়া ধন্য মানে।
আলোছায়ার লুকোচুরি মাঝে,চমকে পলকে মুকুতা সলাজে
হৃদয় মাঝারে শুধু বারে বারে নতুন দিগন্ত আনে।।
মরমরিয়া বনলতা, কয় সে বুঝি মরম কথা
নিরঝরিনী স্বপ্ন গাঁথা ছন্দ সুরের আকুলতা,
বাতাসের বুকে কান পেতে শুনি, রাখালী বাঁশীর অনুরননি
বুঝিনা তবু অবাক মানি কি যাদু মাখা কে জানে ।।
আলিপুরদুয়ার, ২৬/৪/১৯৮৩
নিরবাক বিস্ময়ে নিশ্চল নয়নে মন দেখিয়া ধন্য মানে।
আলোছায়ার লুকোচুরি মাঝে,চমকে পলকে মুকুতা সলাজে
হৃদয় মাঝারে শুধু বারে বারে নতুন দিগন্ত আনে।।
মরমরিয়া বনলতা, কয় সে বুঝি মরম কথা
নিরঝরিনী স্বপ্ন গাঁথা ছন্দ সুরের আকুলতা,
বাতাসের বুকে কান পেতে শুনি, রাখালী বাঁশীর অনুরননি
বুঝিনা তবু অবাক মানি কি যাদু মাখা কে জানে ।।
আলিপুরদুয়ার, ২৬/৪/১৯৮৩
কামনা
আজি মিলন মধুর লগনে, কি হবে সই জেনে।
কি লেখা রয়েছে সেই , অজানা আগত দিনে।।
এই শুভ ক্ষন যেন স্মরন বীনায়
একই সুরে চিরদিন গন্ধ বিলায়
বিষাদ বালুকা যেন নাহি পড়ে ধারা জীবনে।।
শুধু এইটুকু সত্যি হোক, এই পরম পাওয়া
শত জনমের পরে , বাকী সব মিছে মায়া
হাসি ফুল বাসি যেন নাহি হয়
প্রখর দিনের তপত শিখায়
ঝড়ে যেন নাহি ঝরে এই লগন বিতানে।।
আলিপুরদুয়ার, ,২৬/৪।১৯৮৩
কি লেখা রয়েছে সেই , অজানা আগত দিনে।।
এই শুভ ক্ষন যেন স্মরন বীনায়
একই সুরে চিরদিন গন্ধ বিলায়
বিষাদ বালুকা যেন নাহি পড়ে ধারা জীবনে।।
শুধু এইটুকু সত্যি হোক, এই পরম পাওয়া
শত জনমের পরে , বাকী সব মিছে মায়া
হাসি ফুল বাসি যেন নাহি হয়
প্রখর দিনের তপত শিখায়
ঝড়ে যেন নাহি ঝরে এই লগন বিতানে।।
আলিপুরদুয়ার, ,২৬/৪।১৯৮৩
Sunday, May 23, 2010
বন্ধু
ধরা যখন তন্দ্রা মগন ক্লান্ত নিশীথ আঁধারে,
কে যেন সই মনোবীনায় ভৈ্রবী সুরে তান ধরে।
সুরের আগুন ছড়ি্যে দিলো সলাজ গোলাপ অরুন আলো
কাঁজল কালো রেশমী শাড়ী রাখে তুলে ঘুম ঘোরে ।
হাসির ঝিলিক ঝরে দশ দিক, নয়নে সঘন করুনা,
প্রেম শতদল ফুটিয়া উঠিল মিলন রাঙ্গা বরনা ,
কে গো বন্ধু দরদী ছদ্মবেশী সকল ভুলিয়া নিত্য আসি
বাজাও তোমার বাঁশের বাঁশী এমন আপন করে।
আলিপুরদুয়ার, ২৭/৪/১৯৮৩
কে যেন সই মনোবীনায় ভৈ্রবী সুরে তান ধরে।
সুরের আগুন ছড়ি্যে দিলো সলাজ গোলাপ অরুন আলো
কাঁজল কালো রেশমী শাড়ী রাখে তুলে ঘুম ঘোরে ।
হাসির ঝিলিক ঝরে দশ দিক, নয়নে সঘন করুনা,
প্রেম শতদল ফুটিয়া উঠিল মিলন রাঙ্গা বরনা ,
কে গো বন্ধু দরদী ছদ্মবেশী সকল ভুলিয়া নিত্য আসি
বাজাও তোমার বাঁশের বাঁশী এমন আপন করে।
আলিপুরদুয়ার, ২৭/৪/১৯৮৩
MY-ECHO
Few words
Being inspired by imminent music composers like Rabidranath, Kazi Nazrul,Dwijendralal,Atul prosad, Lalon Fakik, Jasimuddin and many others,
I tried to express my feelings,which are embodied here as " MY-ECHO".
Inspite of many errors & omissions,shortfalls my humble expectation to
enter into hearts of sympathetic & sensitive experts to get their valuable
comments & suggestions for up gradations.
Being inspired by imminent music composers like Rabidranath, Kazi Nazrul,Dwijendralal,Atul prosad, Lalon Fakik, Jasimuddin and many others,
I tried to express my feelings,which are embodied here as " MY-ECHO".
Inspite of many errors & omissions,shortfalls my humble expectation to
enter into hearts of sympathetic & sensitive experts to get their valuable
comments & suggestions for up gradations.
Subscribe to:
Posts (Atom)