নিরালম্ব শেওলার মত জোঁইয়ার ভাঁটায়
ঘুরে ফিরে যাওয়া আসা একই ঠিকানায়
এই উদাসী মাটির বুকে ।
অস্তিত্বের শিকড়গুলো খুঁজে ফেরে অচেনা অন্ধকারে
চারিধারে এক ফালি নরম ঠাই ।
শানিত ঐক্যতানে ওঠে গেয়ে, জমাট তন্দ্রিমার তনু বেয়ে
নাই পথিক ওরে নাই।
শতাব্দীর বঞ্চনার নিঠুর আঘাতে
আমরাও ভুলে গেছি দিতে আর নিতে
যত সাম্যের গান।
Tuesday, June 1, 2010
আধুনিক কবিতা
কবিতার আধুনিকতা অথবা আধুনিকতার কবিতা-
বিঝতে না বুঝতেই মহান বিপ্লব হয়ে গেল,
যেমন পঞ্জিকার জল অথবা বন্ধ্যা মাটির কোলে
সবুজ ফসল । গরভিনী শব্দ কোষে কথার শিশুরা সব
রূপ বদলায় প্রতিক্ষনে কোন জৈবিক নিয়মে।
সুরয্যল কবিতার প্রান- বিচিত্র জীবন,
ভাবনা জারকে সিক্ত নিঃসঙ্গ বিফল প্রয়াস,
বাকী সব সম্ভাবনার ইতিহাস ।
দুরবোধ্য পাথুরে গলি ভরা ভয়ের মুখোশ
আর সাদা ভয়েলে আঁকা রঙ্গিন যৌবন !
প্রানের সহজিয়া পরশ কোথাও পাই না খুঁজে,
মতস্য চোখে ব্যঙ্গ করে, আমার প্রজ্ঞা্য,
তবু মেনে নিতে হয়,
ওরা কবিতার কোন প্রজন্ম,
ভুলে ভরা স্বপ্নের বীজ।
শলাকাটি ৯/২/১৯৮৩
বিঝতে না বুঝতেই মহান বিপ্লব হয়ে গেল,
যেমন পঞ্জিকার জল অথবা বন্ধ্যা মাটির কোলে
সবুজ ফসল । গরভিনী শব্দ কোষে কথার শিশুরা সব
রূপ বদলায় প্রতিক্ষনে কোন জৈবিক নিয়মে।
সুরয্যল কবিতার প্রান- বিচিত্র জীবন,
ভাবনা জারকে সিক্ত নিঃসঙ্গ বিফল প্রয়াস,
বাকী সব সম্ভাবনার ইতিহাস ।
দুরবোধ্য পাথুরে গলি ভরা ভয়ের মুখোশ
আর সাদা ভয়েলে আঁকা রঙ্গিন যৌবন !
প্রানের সহজিয়া পরশ কোথাও পাই না খুঁজে,
মতস্য চোখে ব্যঙ্গ করে, আমার প্রজ্ঞা্য,
তবু মেনে নিতে হয়,
ওরা কবিতার কোন প্রজন্ম,
ভুলে ভরা স্বপ্নের বীজ।
শলাকাটি ৯/২/১৯৮৩
সুখে থাক বাছারা
সুখে থাক বাছারা আমার !
ভয়ারত জন্তুর মত পিছু হটে,
মৃত্যুর শানিত ছুরির উপর ওরা ধুঁকছে।
পিছনে অসীম শুন্যতা দোল খায় বাঁদুড়ের মত।
ওরা শাআন্তি খোঁজে বিবস্ত্র লেপের অন্ধকারে শরীরের ভাঁজে
আর বিফলতার নকশা আঁকে পাঁজড়ের হাড়ে ।
লজ্জাবতী বনিতার সলাজ ইঙ্গিতে স্বেচ্ছা বন্দী কংস-কপাটে।
তবু ওরা স্বপ্ন দেখে
পাশব-মৈ্থুনে কোন কৃষ্ণ-ভ্রুন
সোনালী প্রতীক্ষার তন্দ্রা ওদের চোখে ।
ওরা সব শব হয়ে গেছে-তবু
বাছারা আমার থাক সুখে ।
আলিপুরদুয়ার, ২/২/১৯৮২
ভয়ারত জন্তুর মত পিছু হটে,
মৃত্যুর শানিত ছুরির উপর ওরা ধুঁকছে।
পিছনে অসীম শুন্যতা দোল খায় বাঁদুড়ের মত।
ওরা শাআন্তি খোঁজে বিবস্ত্র লেপের অন্ধকারে শরীরের ভাঁজে
আর বিফলতার নকশা আঁকে পাঁজড়ের হাড়ে ।
লজ্জাবতী বনিতার সলাজ ইঙ্গিতে স্বেচ্ছা বন্দী কংস-কপাটে।
তবু ওরা স্বপ্ন দেখে
পাশব-মৈ্থুনে কোন কৃষ্ণ-ভ্রুন
সোনালী প্রতীক্ষার তন্দ্রা ওদের চোখে ।
ওরা সব শব হয়ে গেছে-তবু
বাছারা আমার থাক সুখে ।
আলিপুরদুয়ার, ২/২/১৯৮২
ভাটির টান
আমার আশার আলো গেছে নিভে দেহে ভাঁটির টান ।
এই অবেলায় বলিস না সই তরী বাইতে উজান ।
ছিল যখন মধু মাস নিঠুর শ্যাম রইল উদাস
তার আসা পথ চেয়ে চেয়ে নামতো ভরা বান ।
গন্ধে মাতাল হরিনীর মত শ্যাম কুঞ্জে অবিরত,
পরাগ আবীরে সে পথ রাঙ্গিয়েছি দিন রাত,
এলো যখন বিদায় লগন কেন হানিলি বাঁকা নয়ন
মরা গাঙ্গে ভরা জোয়ার সই সহে না পরান ।
মাল, ১২/৩/ ১৯৮৩
এই অবেলায় বলিস না সই তরী বাইতে উজান ।
ছিল যখন মধু মাস নিঠুর শ্যাম রইল উদাস
তার আসা পথ চেয়ে চেয়ে নামতো ভরা বান ।
গন্ধে মাতাল হরিনীর মত শ্যাম কুঞ্জে অবিরত,
পরাগ আবীরে সে পথ রাঙ্গিয়েছি দিন রাত,
এলো যখন বিদায় লগন কেন হানিলি বাঁকা নয়ন
মরা গাঙ্গে ভরা জোয়ার সই সহে না পরান ।
মাল, ১২/৩/ ১৯৮৩
কেন
পাথর কাঁটা কে ছড়ালো অভিসারের পথের পরে ?
কে জড়ালো আঁধার-আঁচল চন্দ্র-মুখীর নয়ন ঘিরে ?
কার আঁখি জল করেছে পিছল চঞ্চল চরন করে টলমল
নিথর হলো সমীরন হায় কোন বিরহীর হাহাকারে ?
সঙ্গশয় কেন পিছু টানে ভয় কেন আজ কালো মুখে
আঁকা বাঁকা সেই পথের বাঁকে অচেনা আজানা ছবি আঁকে
প্রদীপ জ্বালানো বাসর ঘরে ভরালো কে বিষাদ আঁধারে
বলো বলো সই কোন অপরাধে একেলা রহিবে পড়ে ?
আলিপুরদুয়ার, ৬/৫/১৯৮৩
কে জড়ালো আঁধার-আঁচল চন্দ্র-মুখীর নয়ন ঘিরে ?
কার আঁখি জল করেছে পিছল চঞ্চল চরন করে টলমল
নিথর হলো সমীরন হায় কোন বিরহীর হাহাকারে ?
সঙ্গশয় কেন পিছু টানে ভয় কেন আজ কালো মুখে
আঁকা বাঁকা সেই পথের বাঁকে অচেনা আজানা ছবি আঁকে
প্রদীপ জ্বালানো বাসর ঘরে ভরালো কে বিষাদ আঁধারে
বলো বলো সই কোন অপরাধে একেলা রহিবে পড়ে ?
আলিপুরদুয়ার, ৬/৫/১৯৮৩
মিলন
মিলনের স্বপ্ন জাগে তাই গোলাপ কুঁড়ি আঁখি মেলে।
বিরহের অবসানে চন্দ্রকলা হাসে গগন তলে।
যত সুখ যত আশা গহীন অন্তরে
ভাদরের নদী বুকে তরঙ্গে নাচেরে
অশ্রুর অঞ্জলি ভরে সব ব্যথা মেঘ দলে রাখে পদতলে ।
নিশিথীনির আঁচল খুলে পরায়ে দিলে মিলন হার,
সরম রাঙ্গা অরুন আলোয় রাঙ্গালো মুখ নতুন ঊষার,
আমার পৃ্থ্বী আজ অনুরাগে ফাগে
জানিনা কারে স্মরিয়া গাহে পূরবী রাগে,
কোন বঁধূ কোন কুতুহলে আমার এ ঘুম ঘোর ভাঙ্গায় অকালে।
আলিপুরদুয়ার, ৫/৫/১৯৮৩
বিরহের অবসানে চন্দ্রকলা হাসে গগন তলে।
যত সুখ যত আশা গহীন অন্তরে
ভাদরের নদী বুকে তরঙ্গে নাচেরে
অশ্রুর অঞ্জলি ভরে সব ব্যথা মেঘ দলে রাখে পদতলে ।
নিশিথীনির আঁচল খুলে পরায়ে দিলে মিলন হার,
সরম রাঙ্গা অরুন আলোয় রাঙ্গালো মুখ নতুন ঊষার,
আমার পৃ্থ্বী আজ অনুরাগে ফাগে
জানিনা কারে স্মরিয়া গাহে পূরবী রাগে,
কোন বঁধূ কোন কুতুহলে আমার এ ঘুম ঘোর ভাঙ্গায় অকালে।
আলিপুরদুয়ার, ৫/৫/১৯৮৩
প্রতিদান
যে হাতে গোলাপ তুলে পরালে বঁ্ধূর গলে
জানি হাতে মিশে রয় সুবাস মদির।
মোরে ভালোবাসো বলে তুমি আরো ভালো হলে
নইলে মন্দ ভালোর তফাত কিসের ?
যে হাসি ছড়া্য আলো বলয়ে উজল হলো
দুজনের অন্তর হতে দূরে যায় দুঃখ আঁধার।
ভালবাসার ছোঁয়া লেগে জীবন আবার উঠলো জেগে
আশার অরুন কিরন মেখে যাক না ভেসে এ পারাবার।
আলিপুরদুয়ার, ৫/৫/১৯৮৩
জানি হাতে মিশে রয় সুবাস মদির।
মোরে ভালোবাসো বলে তুমি আরো ভালো হলে
নইলে মন্দ ভালোর তফাত কিসের ?
যে হাসি ছড়া্য আলো বলয়ে উজল হলো
দুজনের অন্তর হতে দূরে যায় দুঃখ আঁধার।
ভালবাসার ছোঁয়া লেগে জীবন আবার উঠলো জেগে
আশার অরুন কিরন মেখে যাক না ভেসে এ পারাবার।
আলিপুরদুয়ার, ৫/৫/১৯৮৩
Subscribe to:
Posts (Atom)